বিরামপুর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
মাংসের কথা বলে মাছ দেওয়া হয় রোগিদের
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০১-০৫-২০২৫ ০১:৩১:১২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০১-০৫-২০২৫ ০১:৩১:১২ অপরাহ্ন
ফাইল ছবি
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দিনাজপুর জেলা কার্যালয়। হাসপাতালটির বিরুদ্ধে রোগিদের খাবার, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ, চিকিৎসাসেবা প্রদান, রোগীদের বিভিন্ন টেষ্টের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন দুদক।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে বিকেলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের এসব কথা জানান দুদক দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারি উপ-পরিচালক খাইরুল আলম।
তিনি বলেন, বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য প্রথমে সাদা পোশাকে অভিযান চালানো হয়। পরে, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খাবারে অনিয়মে বিষয়টি যাচাই করা হয়। সেখানে নিয়মের তোয়াক্কা না করে মাংসের পরিবর্তে মাছ দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
এসময় খাইরুল আলম আরও বলেন, হাসপাতালে ওষুধ বিতরণে অনিয়ম পাওয়া গেছে। সেখানে ওষুধ বিতরণের রেজিষ্টার আপডেট নেই। দীর্ঘ সময় ধরে রেজিষ্টার ফেলে রাখা হয়। এছাড়াও হাসপাতালে দুজন ল্যাবসহকারী কর্মরত আছেন। তাদের দুজনের মধ্যে একজনের স্ত্রীর নামে অন্যজনের বাবার নামে ক্লিনিক আছে। ফলে এখানে কোটি টাকার মেশিন থাকলেও রোগীরা বিভিন্ন প্রকার টেস্ট করাচ্ছেন বাইরে।
দুদকের দিনাজপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইসমাঈল হোসেন বলেন, বিরামপুর উপজেলায় অনেক জনসংখ্যা এবং এখানে যে পরিমাণ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন সেখানে অনেক টেস্ট হওয়ার কথা কিন্তু নাম মাত্র পাঁচ ছয় জন টেস্টের রোগী দেখানো হয়েছে। এখানে আমাদের মনে হয়েছে, রোগীদের দালালের মাধ্যমে ক্লিনিকে পাঠানো হয়। আমরা দুজন ল্যাব সহকারীর বদলির বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। এছাড়াও খাবারে ঠিকাদার ও পরিদর্শন অফিসারকে শো-কজের জন্য বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ইয়াছিন আলীর স্ত্রীর নামে শহরের ‘নাজমা ডায়গনস্টিক সেন্টার এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) শাহ আল এমরানের নামে হাসপাতালের পাশেই মহাসড়ক ঘেঁষা রাজু ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড ক্লিনিক রয়েছে। এই ক্লিনিকে পরিচালক হিসেবে রয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) শাহ আল এমরানের বাবা। এছাড়াও শাহ আল এমরানের স্ত্রী মঞ্জুরা আকতার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফার্মাসিস্ট পদে কর্মরত রয়েছেন।
এসময় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এমও) শাহারিয়ার পারভেজসহ হাসপাতালের চিকিৎসকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স